প্রবন্ধ
লেখক
শ্রেণীবিভাগ
প্রবন্ধ
সাহরী ও ফজরের আযানের সময়
সংগ্রহ
Printer
ডাউনলোড
file

অনেকেই আমাদের ইসলামী যিন্দেগী এ্যাপের সাহরী ও ফজরের সময়ের পার্থক্য এবং ইফতারের সময়ের পার্থক্যের বিষয়ে প্রশ্ন করে থাকেন, যে কেন ইসলামী ফাউন্ডেশন বা অন্যান্য এ্যাপের সময়ের সাথে ইসলামী যিন্দেগী এ্যাপের এমন পার্থক্য রয়েছে?

জবাব

দুইটি বিষয় লক্ষ্য করলে আশা করি আপনাদের প্রশ্নের সঠিক সমাধান পেয়ে যাবেন।

এক. সাহরীর শেষ সময় হলো সুবহে সাদিকের পূর্ব পর্যন্ত। সুবহে সাদিক হয়ে গেলে ফজরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যায়। সেই হিসেবে সাহরী ও ফজরের ওয়াক্তের মধ্যবর্তী কোনো সময় নাই।

দুই. নামায, রোযা, সাহরী, ইফতার ইত্যাদিতে সাধারণত আমরা ইসলামী যিন্দেগী এ্যাপে যে সময়সূচী দিয়েছি তা অনেকেই ফলো করেন। মানুষের রোযা নামায যেন সঠিক সময়ে (ওয়াক্ত হওয়ার পরেই) আদায় হয় সেই বিবেচনা করেই সাহরীর শেষ সময় সতর্কতামূলক সুবহে সাদিকের পাঁচ মিনিট পূর্বে ধরা হয়েছে যেন কিছুতেই মানুষের সাহরী গ্রহন- সুবহে সাদিকের পরে না হয়। কেননা মানুষের ঘড়ির সময় ২/৪ মিনিট এদিক সেদিক হয়েই থাকে। এবং ঠিক একই কারণে ফজরের ওয়াক্তের শুরু সুবহে সাদিকের পাঁচ মিনিট পরে রাখা হয়েছে যেন কিছুতেই ফজরের আযান সুবহে সাদিকের আগে না হয়ে যায়। তাছাড়া হাদীসে আছে, নবী কারীম ﷺ এর সাহরী শেষ করে ফজর শুরু করতে ৫০ আয়াত তিলাওয়াত পরিমাণ বিলম্ব হতো। যার পরিমাণ আনুমানিক ১০ মিনিট। বুখারী হাদীস নং ১৯২১

রমাযান মাসে সাধারণত ওয়াক্ত হওয়ার সাথে সাথেই আযান হয়ে যায়। এবং মানুষ বিশেষতঃ মেয়েরা সাহরীর পর ফজরের আযানের অপেক্ষায় থাকে। অনেকেই আযান শুরু হলে নামায আদায় করে নেন। এখন যদি কোনো কারণে সময় হওয়ার আগেই আযান শুরু হয়ে যায় এবং ঐ আযান অনুসরণ করে কেউ নামায আদায় করেন তাহলে কি তার নামায আদায় হবে? নিশ্চয়ই না!!

এবার আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেখুন।

কেউ যদি তার সময়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকে তাহলে তিনি ইসলামী যিন্দেগীর প্রদর্শিত সময়ের পর সর্বোচ্চ ২/৩ মিনিট আহার করতে পারবেন। তার পরে আহার করলে তার রোযা হওয়া, না হওয়ার বিষয়টি আশংকায় পরবে। কারণ ঘড়ির সময়ের উপর কোন আস্থা রাখা কখনোই উচিৎ না। (আমাদের জানা নাই, কেউ তার ঘড়ির ব্যাপারে এই নিশ্চয়তা দিতে পারবে কিনা!!)

ইসলামী যিন্দেগীর প্রদর্শিত সময় অনুসারে সাহরীর সময় শেষ হওয়ার পরপরই আযান দেওয়ার সুযোগ নাই। কেননা তখনও সুবহে সাদিকের আরো পাঁচ মিনিট বাকী। ঐ সময় আযান দিলে এবং ঐ আযানকে ফলো করে কেউ নামায আদায় করলে তার নামায সহী হবে না। (তবে যদি কেউ ক্যালেন্ডারে প্রদর্শিত সময়সূচী অনুসরণ না করে সরাসরি সুবহে সাদিক নির্ণয় করতে সক্ষম হোন তাহলে যেমনিভাবে তার জন্য ক্যালেন্ডার অনুসরণের প্রয়োজন নাই তেমনিভাবে সতর্কতামূলক সময়েরও অনুসরণের দরকার নাই। কিন্তু বাস্তবে এজাতীয় লোক খুঁজে পাওয়া যাবে কি না সেই প্রশ্ন রেখে দিলাম।)

আশা করি এবার আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গেছেন।