باسمه تعالي
অনেকেই আরবীর উচ্চারন বাংলায় লিখে দিতে বলেন। তাদের এই আবদার সহী না। আরবী উচ্চারণ বাংলা অক্ষর দিয়ে লিখা সম্ভব না। কেননা, আরবী উচ্চারন বাংলায় লিখে পড়তে চাইলে কখনো সহীহভাবে পড়া সম্ভব না। তাই মুফতীয়ানেকেরাম বাংলা উচ্চারণ লিখা, পড়া, বাংলা উচ্চারণ লিখে কিতাব ছাপানো, ঐ কিতাব বিক্রি করা বা ক্রয় করাকে নাজায়েয ফাতওয়া দিয়েছেন। তাই আমরা নিজেকে এবং অন্যকে উক্ত গুনাহ থেকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে আরবীর উচ্চারণ দেই নি।
বয়স যতই হোক না কেন সহীহভাবে তিলাওয়াত শিক্ষা করা সবার জন্য জরুরী। শিখা অবস্থায় কোন ভুল হলে আল্লাহ তা মাফ করে দেন। তাই আমরা নূরানী ট্রেনিং এর মাধ্যমে কুরআন তিলাওয়াত শিক্ষা শুরু করি। মৃত্যু পর্যন্ত চেষ্টা করতে থাকি। আল্লাহ অবশ্যই আমাদের ভুল ক্ষমা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ। তবু আরবীর উচ্চারণ অন্য ভাষায় পড়বো না।
* মুনাজাতে মাকবুল-এ যে অর্থ দেয়া আছে তা নিজের মতো করে পড়লেও দু‘আ হয়ে যাবে। আমরা সকলের দিকে লক্ষ্য করেই, যতটুকু সম্ভব সাবলীল ভাষা ব্যবহার করেছি।
سُبْحَانَكَ لَا عِلْمَ لَنَا اِلَّا مَا عَلَّمْتَنَا اِنَّكَ اَنْتَ الْعَلِيْمُ الْحَكِيْمُ
অর্থ: (হে আল্লাহ!) আমরা তোমার পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তুমি আমাদেরকে যে ইলম (জ্ঞান) শিখিয়েছ তা ছাড়া আমাদের কোনো ইলম নেই। নিশ্চয় তুমি সমস্ত ইলম ও হিকমতের অধিকারী। (সূরা বাক্বারা, আয়াত: ৩২)
رَبِّ يَسِّرْ وَلَا تُعَسِّرْ وَتَمِّمْ بِالْخَيْرِ
অর্থ: হে আমার প্রতিপালক! তুমি সহজ করো, কঠিন করো না এবং সুন্দরভাবে পরিপূর্ণ ও সমাপ্ত করো।