নামাযের সময়
২৪ জুমাদাল উখরা, ১৪৪৭ হিজরী
মাসাইল

ফজরের ওয়াক্ত

সুবহে সাদিক থেকে নিয়ে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত ফজরের ওয়াক্ত থাকে। পূব আকাশের উত্তর-দক্ষিণে যখন সাদা একটা আলো ছড়ায় তখন ফজরের ওয়াক্ত হয়। সূর্যের কিনারা দেখা পর্যন্ত ফজরের ওয়াক্ত থাকে। ফজরের সময়ের মধ্যেও মাগরিবের মতো আকাশ সাদা ও লাল হয়। ফজরে প্রথমে আকাশ সাদা হয় তারপর লাল হয় আর মাগরিবে প্রথমে লাল হয় এরপর সাদা হয়। ফজরের সময়ও প্রায় সোয়া এক ঘণ্টা থেকে দেড় ঘণ্টা পর্যন্ত থাকে। (আল বাহরুর রায়েক ১/৪২৩)

ফজরের উত্তম সময়

ফজরের সময় আলো উত্তর-দক্ষিণে ছড়িয়ে যাওয়ার পরে নবীজী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম  ফজর পড়তে বলেছেন। এ সময় ফজর পড়া উত্তম এবং বেশি সাওয়াব লাভের কারণ। কিন্তু রমযান মাসে আউয়াল ওয়াক্তে ফজর পড়ার মধ্যে বেশি সাওয়াব। (আল বাহরুর রায়েক ১/৪২৮-২৯)

রাক‘আত সংখ্যা

ফজরের ফরজ নামাজ দুই রাক‘আত। এর সময় হলো সুবহে সাদেকের পর থেকে সূর্যোদয়ের আগ পর্যন্ত। (মুসলিম, হাদিস : ১৪৫৬, ৯৬৬)

ফজরের ফরজ নামাজের পূর্বে দুই রাক‘আত সুন্নত (সুন্নতে মু‘আক্কাদাহ)। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১১৪০, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-১২৫১, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-৪১৪, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৭৩০)

মোট: চার রাক‘আত। প্রথমে সুন্নতে মু‘আক্কাদাহ দুই রাক‘আত। অতঃপর ফরজ দুই রাক‘আত।

ফায়দা

যে ব্যাক্তি জামা‘আতের সাথে ফজর নামায আদায় করে আল্লাহ তাকে অর্ধেক রাত নফল নামায পড়ার নেকী দান করেন।